গোস্বামী ধাম, হাজরা
বালিগঞ্জ দূর্গা বাড়ি
বালিগঞ্জ দূর্গা বাড়ি
বালিগঞ্জ দূর্গা বাড়ি
গিরিশ ঘোষের বাড়ির পুজো:
সন ১৮৫৬, গিরিশ ঘোষের হাত ধরে শুরু হলো ঘোষ পরিবারের পুজো। পরিবারের সদস্যদের থেকে যা জানা যায়, এই পরিবারের আগে বসত ছিল হুগলির পরঞ্চপুর গ্রামে। শ্রী মদনমোহনের মন্দিরের ইতিহাস জানান দেয় ওই পরিবারের দুর্গা পুজো আগে পরঞ্চপুর গ্রামেই হত।
পুজোয় ব্যবহৃত যাবতীয় সামগ্রী কলকাতার বাগবাজার ঘাট থেকে জলপথে মগড়া হয়ে গ্রামে পৌঁছোত।
অন্যান্য বনেদি বাড়ির পুজোর থেকে এই ঘোষ বাড়ির পুজো একটা বিশেষ পার্থক্য হলো, ঘোষ বাড়ির পুজোয় সন্ধি পুজোর বদলে কল্যাণী পুজোর রীতি আছে। সন্ধি পুজোর ন্যায় কল্যাণী পুজো তে দেবীর উদ্দেশ্যে ১০৮টি প্রদীপ উৎসর্গ করার চল আছে
কথিত আছে এই প্রথা শ্রী গিরিশ ঘোষের সময় থেকেই চলে আসছে।
সন্ধি পুজোর ক্ষণে গিরিশ ঘোষের গুরুর অকাল প্রয়াণে, সন্ধি পুজো বন্ধ করে কল্যাণী পুজোর প্রচলন করা হয়। আজও এই পুজোয় স্বমহিমায় কুমারী পুজো ও ধুনো পোড়ানোর রীতি পালন করা হয়। ১৬১ বছরের পুরনো এই পুজো আজও বনেদিয়ানার ছাপ রাখে।
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
খেলাৎ ঘোষ বাড়ি
নীলমণি সেন বাড়িতে মা অভয়া দুর্গা পূজা, বৈঠকখানা রোড
ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়ির দুর্গা পূজা
ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়ির দুর্গা পূজা:
তাঁর বিডন স্ট্রিট বাসভবনে, শ্রী রামদুলাল দেব ১৭৭০ সাল থেকে দুর্গা পূজা আরম্ভ করেন | তিনিই প্রথম বাঙালি যাকে কোটিপতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় | তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্রসন্তান , আশুতোষ দেব ও প্রমথনাথ দেব এই পূজা এগিয়ে নিয়ে যান এবং তাদের মৃত্যুর পর রামদুলাল দের পৌত্র , অনাথ নাথ দে সেই ঐতিহ্য রক্ষা করেন |
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি
খেলাৎ ঘোষ বাড়ি
নীলমণি সেন বাড়িতে মা অভয়া দুর্গা পূজা, বৈঠকখানা রোড
ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়ির দুর্গা পূজা
ছাতুবাবু লাটুবাবুর বাড়ির দুর্গা পূজা:
তাঁর বিডন স্ট্রিট বাসভবনে, শ্রী রামদুলাল দেব ১৭৭০ সাল থেকে দুর্গা পূজা আরম্ভ করেন | তিনিই প্রথম বাঙালি যাকে কোটিপতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয় | তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দুই পুত্রসন্তান , আশুতোষ দেব ও প্রমথনাথ দেব এই পূজা এগিয়ে নিয়ে যান এবং তাদের মৃত্যুর পর রামদুলাল দের পৌত্র , অনাথ নাথ দে সেই ঐতিহ্য রক্ষা করেন |
অনাথনাথ দের মৃত্যুর পর তার পাঁচ পুত্র এই ঐতিহ্য রক্ষার চিরস্থায়ী ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে
অনাথ নাথ দেব ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন |
বর্তমানে সমস্ত পুজোই এই ট্রাস্টের দ্বারা পরিচালিত হয় |
ভবানীপুর মিত্রবাড়ি:
ভবানীপুরের মিত্র বাড়িতে পুজোর শুরু ১৮৫৭সালে। একসময়ে অনেক জাকঁজমক থাকলেও এই বাড়ির জৌলুস এখন অনেকটাই ম্লান। এই বাড়ির প্রতিমা দশভূজা হলেও দুটো হাতই দেখা যায়, বাকি আটটি হাত আকারে ছোটো চুলের আড়ালে ঢাকা থাকে। এই মূর্তি স্বপ্নাদেশে পাওয়া। লক্ষী ও সরস্বতী পদ্মের ওপর দন্ডায়মান, বাহন নেই। সিংহ ঘোটকমুখী।
পথনির্দেশ- ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার পেরিয়ে অ্যালেন বাই রোড ও পদ্মপুকুর রোডের সংযোগস্থলে।
ভবানীপুরের মিত্র বাড়িতে পুজোর শুরু ১৮৫৭সালে। একসময়ে অনেক জাকঁজমক থাকলেও এই বাড়ির জৌলুস এখন অনেকটাই ম্লান। এই বাড়ির প্রতিমা দশভূজা হলেও দুটো হাতই দেখা যায়, বাকি আটটি হাত আকারে ছোটো চুলের আড়ালে ঢাকা থাকে। এই মূর্তি স্বপ্নাদেশে পাওয়া। লক্ষী ও সরস্বতী পদ্মের ওপর দন্ডায়মান, বাহন নেই। সিংহ ঘোটকমুখী।
পথনির্দেশ- ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার পেরিয়ে অ্যালেন বাই রোড ও পদ্মপুকুর রোডের সংযোগস্থলে।
ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি:
১৮৫৫সালে দ্বারকানাথ দত্ত ঠনঠনিয়ায় এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। এই বাড়িতে হরগৌরী মূর্তি পূজিত হয়। দ্বিভূজা দেবী এখানে শিবের কোলে আসীন। সিংহ ও অসুর থাকেনা। এই বাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ ধুনো পোড়ানো। বাড়ির সধবা মহিলারা হাতে ও মাথায় জ্বলন্ত মাটির মালসা নিয়ে দেবীর কাছে শান্তিকামনা করেন।
পথনির্দেশ- ৩নং বিধান সরণী, ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরের নিকটে।
পথনির্দেশ- ৩নং বিধান সরণী, ঠনঠনিয়া কালীমন্দিরের নিকটে।
চোরবাগানের শীল পরিবার:
স্বর্গীয় ক্ষেত্রমোহিনী দেবী শীলবাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। ১৫০বছরের পুরোনো এই পুজোর নিষ্ঠা ও রীতিনীতি দেখবার মতো। উল্টোরথের দিন কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে ঠাকুরদালানে প্রতিমা নির্মান শুরু হয়। বংশ পরম্পরায় পাল মহাশয় এই ঠাকুর গড়েন। দেবী এখানে একচালার সাবেকি ধাঁচের। এখানে বৈষ্ণব মতে দেবীর আরাধনা হয়। পুজোর চারদিনই নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়।
স্বর্গীয় ক্ষেত্রমোহিনী দেবী শীলবাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন। ১৫০বছরের পুরোনো এই পুজোর নিষ্ঠা ও রীতিনীতি দেখবার মতো। উল্টোরথের দিন কাঠামো পুজোর মধ্যে দিয়ে ঠাকুরদালানে প্রতিমা নির্মান শুরু হয়। বংশ পরম্পরায় পাল মহাশয় এই ঠাকুর গড়েন। দেবী এখানে একচালার সাবেকি ধাঁচের। এখানে বৈষ্ণব মতে দেবীর আরাধনা হয়। পুজোর চারদিনই নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়।
দর্জিপাড়া মিত্রবাড়ি:
প্রায় দুশো বছরের প্রাচীন উত্তর কলকাতার এই বনেদিবাড়ির পুজো। দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তিকে সিংহাসনে বসানো হয়। এই বাড়ির পুজোয় দেবীকে ১০৮ অপরাজিতা ফুল অর্পন করা হয়। অন্যান্য নৈবেদ্যের সাথে দেবীকে এখানে কাঁচা সবজি, পোস্ত, পালং,বাদাম প্রভৃতির বড়ি, তাল, তেতুঁল, আমসি প্রভৃতির আচার দেবীকে নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন বাড়ির মহিলারা মাছ-ভাত খেয়ে দেবীকে বরণ করেন ।
প্রায় দুশো বছরের প্রাচীন উত্তর কলকাতার এই বনেদিবাড়ির পুজো। দেবীর মৃন্ময়ী মূর্তিকে সিংহাসনে বসানো হয়। এই বাড়ির পুজোয় দেবীকে ১০৮ অপরাজিতা ফুল অর্পন করা হয়। অন্যান্য নৈবেদ্যের সাথে দেবীকে এখানে কাঁচা সবজি, পোস্ত, পালং,বাদাম প্রভৃতির বড়ি, তাল, তেতুঁল, আমসি প্রভৃতির আচার দেবীকে নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন বাড়ির মহিলারা মাছ-ভাত খেয়ে দেবীকে বরণ করেন
Images Courtesy: Raja Chakraborty, Avik Boral, Souvik Basak & Somen Nath.