Thursday, 27 August 2020

হাওড়া শিবপুরে বাগ বাড়ির দুর্গোৎসব

 শ্রী পরেশ চন্দ্র বাগ মহাশয় হাওড়া বলুহাটি অঞ্চলের বাগ রিবারের সপ্তম পুরুষ। অল্প বয়সে পিতৃবিয়োগ জনিত কারণে তিঁনি যাবতীয় পৈত্রিক বিষয় সম্পত্তি ত্যাগ করে হাওড়া পাতিহাল অঞ্চলে চলে আসেন ১৯২৩ সালে। পরবর্তীকালে কর্মজীবনে কলকাতা হাইকোর্টের উচ্চপদস্থ অফিসার হিসেবে যথেষ্ট নাম ডাক ও খ্যাতি অর্জন করেন তিঁনি। ক্রমশ হাওড়া শিবপুর অঞ্চলে নতুন গৃহ নির্মাণ করেন এবং চন্ডীমন্ডপে ছোট ভাবে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি ঘটে এবং পারিবারিক পূজা বৃহৎ রূপ পপরিগ্রহ করে। বর্তমানে তাঁহার তৃতীয় পুরুষ শ্রী সৌজিত বাগ পূজার সমস্ত দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। সসম্পূর্ণ বৈষ্ণব মতে এই পূজা হয়ে থাকে, পূজায় কোন রক্ত নিবেদন করা হয় না। দেবী এই পরিবারে কন্যা রূপে পূজিতা হন। মাকে বেণারসী শাড়ি ও গহনা পরানো হয়। মাহিষ্য পরিবার বলে কোন অন্নভোগের রীতি নেই। দেবীকে প্রধানত মিষ্টান্ন, মালপোয়া, গজা, বোঁদে, নিমকি, মিহিদানা, কচুরি, শিঙ্গারা, লুচির নৈবেদ্য নিবেদন করা হয়


পারিবারিক প্রথানুযায়ী সপ্তমীতে ২৩ টি, অষ্টমীতে ২৪ টি এবং নবমীতে ২৫ টি চালের নৈবেদ্য মাকে নিবেদন করা হয়। প্রত্যহ চন্ডী, গীতা ও রামায়ণ পাঠ এই বাড়িতে হয়ে থাকে। সপ্তমীকে নবপত্রিকা গঙ্গায় না নিয়ে গিয়ে দেবীপ্রতিমার সম্মুখে পেতলের গামলায় স্নান করানো হয়। নবমী হোমের পর আমিষ খাওয়ার রীতি আছে। দশমীতে পানের ঝাড় খিলি মায়ের হাতে দিয়ে দেবীপ্রতিমা বরণ করে সিঁদুর খেলার পর দেবীকে বিদায় জানানো হয়।













দশমীর সকালে সব কাজে অপরাজয়ের জন্য অপরাজিতা পূজো করা হয়।




কৃতজ্ঞতা - শ্রী সৌজিত বাগ
Pic courtesy : Soujit Baug and Soujit Baug.

Monday, 17 August 2020

সামতা চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ২৫০ বছরের পূজা

 সামতাবেড়ের অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বসতবাড়ির কাছেই এই ঐতিহ্যবাহী পুজো।










লেখা এবং ছবি: সৌপায়ন চট্টোপাধ্যায়